প্রতিদিনের মতো প্রাইভেট পড়তে শিক্ষকের বাসায় গিয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রহিমা আক্তার (১২)। বাসায় শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে ঘরে বই-খাতা রেখে ছাদে যায় রহিমা। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও নিচে নামছিল না সে। এর মধ্যেই বাতাসে ভেসে আসে পোড়া গন্ধ। কারণ খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল রহিমার ঝলসে যাওয়া লাশ।
গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায় আজ সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ছাদে খেলতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে রহিমার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রহিমার বাড়ি এরশাদনগরের ৩ নম্বর ব্লকে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৩ নম্বর ব্লকের মুমিন মিয়ার বাড়িটি তিনতলা। ওই বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষে প্রাইভেট পড়াতেন ফারুক হোসেন নামের এক শিক্ষক। রহিমাও সেখানে পড়ে। সোমবার বেলা তিনটার দিকে পড়তে যায় সে। কিন্তু ফারুককে পড়ার ঘরে না পেয়ে কিছু সময়ের জন্য বাসার ছাদে ওঠে সে। কিন্তু এরপর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও নিচে নামছিল না সে। এর মধ্যেই বাতাসে একধরনের পোড়া গন্ধ পায় স্থানীয় লোকজন। পরবর্তী সময়ে কারণ খুঁজতে গিয়ে বাসার পাশেই একটি বৈদ্যুতিক তারে ঝুলন্ত অবস্থায় রহিমার মরদেহ পাওয়া যায়।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মো. রাজিব বলেন, মূলত শিক্ষককে বাসায় না পেয়ে বাসার ছাদে ওঠে সে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে খেলতে গিয়ে হঠাৎ পা পিছলে নিচের বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে বেঁধে যায় সে। এরপর সেখানেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। এ ব্যাপারে শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।